Header Ads

সাকিবের ‘বিকল্প’ পাওয়া গেল?

ক্রিকেট র‍্যাংকিংয়ে নিচের দিকে (এখন অবশ্য মাঝের দিকে) থাকা বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটার বিশ্বের ১ নম্বর অলরাউন্ডার। কেবল ওয়ানডেতে নয়; ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান।

কীভাবে হয়েছেন?

আইসিসির সঙ্গে দেন-দরবার করে? নাকি পারফর্মেন্স দেখিয়ে? শুক্রবার যে পূর্ণশক্তির নিউজিল্যান্ডকে বিপুল বিক্রমে হারাল বাংলদেশ; এই দলটিকেই হোয়াইটওয়াশ করার সিরিজে মূল ভূমিকা ছিল কার? একটু ভেবে দেখবেন কি?

বলা হয়ে থাকে যে, একজন ক্রিকেটারকে বিচার করতে গেলে পরিসংখ্যান সবসময় সঠিক তথ্য দেয় না। পাশাপাশি এটাও সত্য যে, পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যায় একজন ক্রিকেটারের কীর্তি। বলুন তো, ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ২য় সর্বোচ্চ রান কার? দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন কে? টেস্টের ক্ষেত্রেও যদি একই প্রশ্ন করা হয়, তাহলে উত্তরটা একটু ভিন্ন আসবে। টেস্টে রানের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও উইকেটের সংখ্যায় সাকিব আল হাসানের ধারে কাছে কেউ নেই। তার প্রিয়বন্ধু তামিম ইকবাল যিনি রানের দিক দিয়ে ১ নম্বরে আছেন; তার প্রতিও কি কম অবিচার করা হয়েছিল? মনে পড়ে সেই দিনগুলোর কথা? আর সেই তামিম এখন কোন রূপে দেখা দিয়েছেন- তা অজানা নেই কারও।

সাকিব আল হাসানকে বলা হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘পোস্টার বয়’। এতটুকুও ভুল নয়। ক্রিকেট বিশ্বর বিভিন্ন দেশে এই সাকিব খেলে বেড়ান  ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার তিনি; যাকে পেতে চায় বিশ্বের সকল টুর্নামেন্টগুলো। বলুন তো, এসব অর্জন কি সাকিব বিশ্বব্যাপী দেন-দরবার করে অর্জন করেছেন?  নাকি যোগ্যতা দেখিয়ে করেছেন? ক্রিকেট বিশ্ব এতটাই ঠুনকো যে, র‍্যাংকিংয়ের ৮-৯ নাম্বার দলের (এখন ৬) একজন ক্রিকেটারকে সাধ করে ডেকে নিয়ে যাবে? ‘সাকিবের বিকল্প খোঁজা দরকার’ তত্ত্বে যারা বিশ্বাস করেন, তাদের কাছে নিশ্চয়ই এইসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে না।

শেষ পর্বে আসা যাক। গতকাল শুক্রবার রাতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মঞ্চে ব্যাটিংয়ে নেমে খেই হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। একের পর এক অসাধারণ ইনিংস উপহার দিয়ে যাওয়া তামিম ইকবাল এদিন পারলেন না। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও টানা তৃতীয় ম্যাচে কিছু করতে পারলেন না। তিন নম্বরে নামা সাব্বির কী খেললেন সেটা তিনি নিজেই জানেন। মি. ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকও দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। (দয়া করে এখন কেউ এদের সমালোচনায় মাতবেন না। এই তিনজন দলকে অনেক দিয়েছেন। ) নিউজিল্যান্ড ম্যাচে সাকিবের বিকল্প খুঁজে পাওয়া গেল না! শেষ পর্যন্ত দলকে ভরসা দিলেন দুই ‘ফুরিয়ে যাওয়া’ ক্রিকেটার।

সাকিবের বিকল্প খোঁজার কথা উঠলেও তাকে বাদ দেওয়ার কথা কেউ বলতে পারেনি এখনো। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সফরে মাহমুদ উল্লাহকে তো বাদ দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। নেহাতই অধিনায়ক মাশরাফি ছিলেন বলে রিয়াদ এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। হ্যাঁ, বাংলাদেশের ক্রিকেটের অবিসংবাদিত নায়ক মাশরাফিই সেদিন রিয়াদের পক্ষ নিয়েছিলেন। ‘রিয়াদ না থাকলে আমি খেলব না’ জাতীয় কথাও শোনা গিয়েছিল।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গিয়ে তিনি সাকিবের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন, সাকিব ফর্মে ফিরবেই। তিনি ফিরেছেন কি? নাকি পরের ম্যাচে যদি ২০ রানে আউট হয়ে যান সাকিব, তাহলে আবার বিকল্প খোঁজা শুরু হবে?

No comments

Theme images by Matt Vince. Powered by Blogger.